শেষ পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ জন্য ভোটের তারিখ এক মাস পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ফ্রন্টনেতারা।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সে জন্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে।

নির্বাচন কমিশনকে পুনরায় তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিতে হবে। নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ফখরুল বলেন, আমরা সাত দফা দাবি থেকে সরে আসিনি। সাত দফা দাবি আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলমান।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমতল ভূমি সৃষ্টি করার জন্য নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেয়ার দাবি করছি। এখানে উল্লেখ্য যে, দেশের ইতিহাসে নির্বাচন পেছানোর ঘটনা আরও আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের তারিখও পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জনগণের। এ দাবি পূরণ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, এনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

এর আগে শনিবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের সভায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।