দর্পণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় রিজার্ভই ছিল না। তারা রিজার্ভ খেয়ে ফেলেছিল। বিএনপি এ দেশের অর্থনীতি গিলে ফেলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ গিলে ফেলেছে। এবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে দেশ গিলে খাবে। তাই বিএনপি থেকে সাবধান। বড় লোকের বাসার সামনে লেখা থাকে, কুকুর হইতে সাবধান। আমরা বলছি, বিএনপি হইতে সাবধান।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে (বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠ) আয়োজিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুরে বিএনপির সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা জানেন রংপুরে একটি সমাবেশ হচ্ছে। সেখানে তিন দিন আগে থেকে লোকজন নিয়ে গিয়ে স্টেজে শুয়ে আছেন, মাঠে শুয়ে আছেন, রাস্তায় শুয়ে আছেন। আর টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনের নামে টাকা আসছে, আর তারা টাকার ওপর শুয়ে আছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপির সম্মেলনে ক’জন লোক হয়েছে তা আমরা দেখেছি। আজকে শুধু ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনে কত লোকজন হয়েছে তা আপনারা দেখে যান। এখানে আমাদের নেত্রী নেই। তারপরও কত লোক হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার চেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। গত ৪৭ বছরে দেশের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সাহসী নেতার নামও শেখ হাসিনা।
বিএনপির নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। যাবেন, যাবেন। গাধা পানি ঘোলা করে খায়। সময় আসলেই দেখা যাবে বিএনপি নির্বাচনে যায় কি না।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সম্মেলনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, দূর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।