বিএনপির লোগো- ফাইল ফটো

আর এজন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির দিকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের নেতারা। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির অদক্ষতা ও নেতৃত্বের স্বকীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। 

তাদের মতে, বিএনপির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই নিষ্ক্রিয়। তারা দলীয় কর্মকাণ্ড খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চালাচ্ছেন বলেই এর প্রভাব তৃণমূলেও পড়েছে। এ কারণে ধীরে ধীরে স্থাবির হয়ে পড়েছে তৃণমূলের কর্মকাণ্ডও।

দলটির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি দীর্ঘদিন ধরেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। একদিকে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, অন্যদিকে চেয়ারপার্সন খালেদা খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তথা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হোয়াটসঅ্যাপে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যারা দেশে অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে মাহাবুবুর রহমান দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দীর্ঘদিন অংশ নিচ্ছেন না। বার্ধক্যজনিত কারণে দলীয় কর্মকাণ্ডে তিনি নিষ্ক্রিয়। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার আগে প্রেসক্লাবভিত্তিক মানববন্ধন বা ঘরোয়া সভায় সক্রিয় ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মেজাজেও পরিবর্তন ঘটেছে। নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক বা দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছাড়া আগের মতো তাকেও আর দেখা যায় না। বার্ধক্যজনিত কারণে তার এ পরিবর্তন বলে জানা গেছে।

স্থায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা নানা সমালোচনা ও ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য বলেন, স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন ব্যর্থতা নিয়ে নানা মহলে আমি সমালোচনা শুনেছি। স্থায়ী কমিটিকে বৃদ্ধাশ্রম বলেও ঠাট্টা-মশকরা করেন অনেকে। সত্যি বলতে, স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ নেতাই বয়স্ক। তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি কমে গেছে। আর এসব কারণেই কর্মসূচি দিতে সাহস পান না।