অ্যাজমা এক ধরনের ইনফ্লামাটেরি রোগ। এ সমস্যা শ্বাসযন্ত্র সংশ্লিষ্ট। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অ্যাজমার প্রকোপ বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ভারতের প্রতি দশ জন রোগীর দশমজনের অ্যাজমা রয়েছে। আমাদের দেশেও চিত্রটা ভয়ংকর। তবে যারা এখনো সুস্থ এবং মাত্র আ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্যে কিছু পরামর্শ এনেছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ে। বদভ্যাস বাদ দিয়ে ব্যায়াম করলে অ্যাজমামুক্ত থাকতে পারবেন। এখানে ঘরে থাকে এমন কয়েকটি খাবারের কথা বলা হলো। এগুলো নিয়মিত খেলে অ্যাজমার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

দুধ
যদি অ্যাজমা থেকে দূরে থাকতে চান তো দুধকে ‘হ্যাঁ’ বলুন। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়ামও থাকে। যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম খাচ্ছেন, তখন আপনার শ্বাসনালীর পেশিগুলো আরাম পায়। ফলে এগুলো সবসময় খোলা থাকে। দুধে আরো আছে ভিটামিন ডি। এটাও অ্যাজমা প্রতিরোধ করে বলা হয়।

পেঁয়াজ এবং রসুন
যদিও আমাদের খাবারে এ দুটোর ব্যবহার প্রচুর ঘটে, তবুও অনেক মানুষ আছেনন যারা পেঁয়াজ-রসুন একেবারেই খেতে চান না। আপনার বংশে অ্যাজমার রোগী থাকলে আগেভাগেই সাবধান হতে হবে। পেঁয়াজ এবং রসুনে আপত্তি থাকলে চলবে না।

গাজর
এতে আছে বেটা ক্যারোটিন এবং নেন্স। বলা হয়, ব্যায়ামের কারণে যে অ্যাজমা হয় তা থেকে রক্ষা করে বেটা-ক্যারোটিন। আরো আছে ভিটামিন এ। এটি অ্যাজমার আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। তাই গাজর খান নিয়মিত।

হলুদ
এমনিতেই হলুদের গুণের কোনো শেষ নেই। হলুদ কিন্তু অ্যাজমার বিরুদ্ধেও কাজ করে। বিশেষ করে শ্বাসনালীর যত্নআত্তিতে হলুদের কার্যকারিতা রয়েছে।

ভিটামিন সি
যেসব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খান। সাইট্রাস জাতীয় ফলে পাবেন এই ভিটামিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি লাগলে লেবু খেলে দেখবেন উপকার মেলে। অ্যাজমা প্রতিরোধেও ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর।