দর্পণ ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলার ছোটা পাড়ায় তাক লাগানো ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের রাতেই বেড়াল মারলেন। তবে বর নয়, কনে। বউভাতের রাতে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়াতেই বেহুঁশ শ্বশুরবাড়ির সবাই। সেই সুযোগে সমস্ত গয়না, টাকা নিয়ে চম্পট নববধূ। সকালে ঘুম ভাঙতেই মাথায় হাত সবার। নিঃস্ব করে তাদের ফাঁকি দিয়েছেন ‘ঘরের লক্ষ্মী’!

পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার শ্রীভাসতাভ’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় সর্বস্বান্ত পরিবার। ৯ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল প্রবীণ-রিয়ার। রিয়া আজমগড়ের বাসিন্দা। প্রশাসন জানিয়েছে, ৭০ হাজার টাকা আর তিন লাখ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছে সে। তদন্তে নেমে পুলিশ খুঁজছে বিয়ের ঘটক টিঙ্কুকে। সন্দেহ, এই ঘটনার পেছনে হাত রয়েছে তার।

পাত্রের বাবা রাম লাডেটে জানিয়েছেন, ছেলের বিয়েতে চার লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। বিয়ের আগেই টিঙ্কু তাঁর থেকে টাকা নিয়ে জানিয়েছিল, এই টাকা সে কন্যাপক্ষকে দেবে। মেয়ের বিয়ের গয়না গড়াতে। কারণ, পাত্রীপক্ষ প্রচণ্ড গরীব।

হতাশ নতুন বর প্রবীণও। বউ যে এভাবে সব হাতিয়ে, পরিবারকে ঠকিয়ে পালাবে, কস্মিনকালেও ভাবতে পারেননি তিনি।