গ্রেফতার অভিযুক্তরা

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) রফিকুল আলম।

এর আগে রোববার (২৪ জুলাই) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার মধুরডাঙ্গা ও চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনি বৌ-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন।

গ্রেফতাররা হলেন- সিহাবুল ইসলাম শিলু (২১) ও তার স্ত্রী আসমা আফিয়া ওরফে অহনা ওরফে অধরা (২১), স্বাধীন (২১), সাগর আলী (২২), মেহেদী হাসান মিম (২১) এবং প্রিয়া আক্তার মায়া ওরফে টুসু (১৯)।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, পাঁচ মাস আগে অহনার সঙ্গে নগরীর এক যুবকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে মোবাইল ও মেসেঞ্জারে তাদের কথা হতো। কিছুদিন পর অহনার সঙ্গে নগরীর বন্ধ গেটে দেখা হয় যুবকের। সেখানে অহনার বান্ধবী মায়ার সঙ্গেও তার পরিচয় হয়। 

তিনি বলেন, ২০ জুলাই অহনা তার বান্ধবী মায়ার মোবাইল থেকে ওই যুবককে ফোন দিয়ে চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেন। রাত সাড়ে ৯টায় শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যান ওই যুবক। সেখানে অহনা ও তার বান্ধবী মায়ার সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ওই যুবককে স্কুলের মাঠে নিয়ে যান অহনার সহযোগীরা।

সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর করে যুবকের সঙ্গে থাকা ৩৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল কেড়ে নেন তারা। পরে নগ্ন ছবি তুলে পাঁচ লাখ টাকার জন্য পরিবারের লোকজনকে চাপ দেন। এ অবস্থায় বন্ধুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে তাদের দেন যুবক। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। পরবর্তী সময়ে ৫৭ হাজার টাকা ও মোবাইল খোয়ানোর অভিযোগ করেন যুবক। এর ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেফতার করা হয়। 

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানকালে একজন পালিয়ে গেছে, তাকেও গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।