দর্পণ ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে আম্ফান সুনির্দিষ্ট একটি গতিতে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসেনি। এটি কখনও ঘণ্টায় এক/দুই কিলোমিটার এগিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর আগে যে অনুমান করেছিল, তার সঙ্গে মিলছে না। ফলে এটি মঙ্গলবার শেষরাতে আঘাত নাও করতে পারে। বুধবার দুপুরের পর আম্ফান বাংলাদেশে আঘাত করতে পারে। মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে যে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হচ্ছে। দেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।আম্ফান এখনও অনেক দূরে আছে। মাঝে মাঝে এর গতি অনেক কমে যাচ্ছে। যার ফলে আমরা যে ক্যালকুলেশন (হিসাব) করেছিলাম, এটা অনুযায়ী এত কিলোমিটার বেগে আসলে ওমুক সময় এটা অতিক্রম করবে- ওই ক্যালকুলেশনটা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আগামীকাল (আজ) দুপুরের পর থেকে হয়তো অতিক্রম করা শুরু করবে।’

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ২০ মে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে আম্ফানের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ-ওডিশ্যায় তুমুল বর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভারতের এ দুই প্রদেশের কাছাকাছি এগিয়ে আসা ঝড়ের ভয়াবহ তাণ্ডব বুধবার (আজ) বিকেলের দিকে শুরু হতে পারে। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশ্যায় ঝড়ছে আম্ফান।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।