ছবিঃ সংগৃহিত

রাগের বশে পুলিশের সামনেই একে একে নিজের পোশাক খুলে ফেললেন এক তরুণী #MeToo আন্দোলনের মধ্যেই ।
পুলিশের ওপর রাগ। তাই বলে এমন ঘটনা ঘটনা ঘটাবেন তরুণী। যা দেখে চোখ কপালে উঠে গেছে সবার। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের ওশিওয়াড়া এলাকায়।

সেই ঘটনার ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এ নিয়ে রীতিমতো দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। ঠিক কী হয়েছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কিন্তু মহিলার দাবি অনুয়ায়ী তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা একটি বিলাসবহুল হোটেলের লিফটের সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের ধমক দিচ্ছেন। তাঁর কণ্ঠস্বর সপ্তমে। সামনে পুলিশকর্মীরাও রয়েছেন, তাদের সঙ্গেও চলছে বাকযুদ্ধ। হঠাৎই রাগের বশে পুলিশকর্মীদের সামনেই নিজের পোশাক খুলে ফেললেন ওই তরুণী।

কী ঘটেছিল? বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া গেলেও মেঘা শর্মা নামের ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন তাঁকে সেদিন শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল। রাত তখন ১টা যখন হোটেলে হেনস্তার শিকার হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করে পুলিশে ফোন করেন মেঘা শর্মা। মিনিট দশেকের মধ্যেই ঘটনাস্থালে আসে পুলিশ। কিন্তু তারপরই বাঁধে বিপত্তি।

মেঘার দাবি পুলিশ এলে তাঁদের বিস্তারিত ঘটনার কথা তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু ওশিওয়াড়া থানা সূত্রে খবর, পুলিশকর্মীরা তাঁকে সাহায্য করতে চাইলেও তা নিতে অস্বীকার করেন ওই নারী। তখন তাঁকে থানায় আসতে অনুরোধ করেন পুলিশকর্মীরা। তাতেও অস্বীকার করেন ওই নারী। সঙ্গে সঙ্গে তর্ক শুরু হয়ে যায় ওই নারী এবং পুলিশকর্মীদের মধ্যে। এরপরই রাগের বশে কাণ্ডটি ঘটিয়ে বসেন মহিলা।

সোশ্যাল মিডিয়া এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। এক পক্ষ বলছে, পুলিশকে যখন ডাকলেনই তখন তাদের সহযোগিতা করা উচিত ছিল ওই মহিলার। আবার অন্য একশ্রেণি বলছে, ভারতীয় আইন অনুযায়ী মধ্যরাতে কোনো মহিলাকে থানায় নিয়ে যাওয়া যায় না, তাই ওই মহিলা নৈতিক কাজই করেছেন। তাছাড়া পুলিশের উচিত ছিল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া।