অনলাইন ডেস্ক : ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে মেরাজ।

গত ২০ মার্চ থেকে রজব মাস গণনা শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ বা শবে মেরাজ পালিত হচ্ছে।

৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে বিশেষ ব্যবস্থায় ঊর্ধ্বকাশে যান। সেখানে হজরত আদম (আ.)সহ উল্লেখযোগ্য নবীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর সালাম বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন।

এ পর্যন্ত হজরত জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গী ছিলেন। সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর পাঁচওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন পৃথিবীতে। একই সময়ে মহানবী (সা.) সৃষ্টি জগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন। আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ।

মেরাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনিইসরাইলে বলা হয়েছে (আয়াত ১) : ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়, যিনি রাতে স্বীয় বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি। যেন আমি আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ ওলামারা বলে থাকেন, এটি নবীজীর একটি আধ্যাত্মিক সফর।

বিশ্বের মুসলমানরা নফল নামাজ, জিকির-আসগার, কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ পাঠ, মোনাজাত ও শিরনি বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেন। বাংলাদেশেও দিবসটি তেমনিভাবে পালিত হয়। পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ মাগরিব ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।