মো: আ: রশীদ হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে ঘরমুখো মানুষজন নিজ বাড়ীতে ফিরতে শুরু করছে। আগামীকাল শেষ কর্মদিবসের পরে মানুষের এ ফেরার চাপ আরো বাড়তে থাকবে।পটুয়াখালীতে রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌপথে জনসাধারন আসা যাওয়া করে,এ ছাড়া অন্যান্ন জেলা থেকে সড়ক পথেই সবাইকে আসতে হয়।পটুয়াখালী জেলার পাশ্ববর্তী জেলা বরগুনার অনেক জনসাধারন পটুয়াখালী থেকে সড়ক পথে একটি ফেরী পরাপারের মাধ্যমে অল্প সময়ে বরগুনা পৌছতে পারেন।সড়ক পথে পটুয়াখালী জেলায় প্রবেশ করতে পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরীঘাট পাড়াতে হয়।এ কারনে লেবুখালী ফেরী ঘাটে অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে ।
পটুয়াখালী ও বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন পটুয়াখালী ফেরী উপ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: ওমর ফারুক জানান,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় মোট ৬টি ফেরী ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে লেবুখালী ফেরীঘাটটিতে সবচেয়ে বেশী যানবাহন পাড়াপাড় হয়। লেবুখালী ফেরীঘাটে বর্তমানে ৪টি ফেরী থাকলেও সবসময় চালানো হয় ২টি ফেরী। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জনসাধারনের নির্ভীঘেœ পাড়াপাড়ের জন্য ৪টি ফেরীর স্পেয়ার পার্টস সহ ইনজিন সচল রাখা হয়েছে,আশা রাখি কোনধরনের সমস্যা হবে না,এ ছাড়া বাউফল -দশমিনার সাথে সংযোগ সড়কের বগা ফেরী ঘাটে ২টি ফেরী ,পায়রাকুনজ্ ফেরীঘাটে ১টি ফেরী ,গলাচিপা ফেরীঘাটে ১ টি ফেরী, বরগুনা জেলার আমতলী ফেরীঘাটে ২টি ফেরী ,বরগুনার বরইতলা-বাইনচুটকি ফেরীঘাটে ১ টি ফেরী সমপূর্নভাবে সচল রয়েছে। এ সকল ফেরী ঘাটে ঈদের আগে ও পরে যাতে যানবাহন পাড়াপাড়ে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।