করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার সকল হোটেল-মোটেল বন্ধের নির্দেশনার পর এবার পটুয়াখালী জেলায় সড়ক ও নৌপথে বহিরাগত অর্থাৎ অন্য জেলার বাসিন্দাদের জেলায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটে চলাচলরত সকল যাত্রীবাহী ডাবল ডেকারের সকল লঞ্চের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। পুলিশের পক্ষ সচেতনতা নিয়ে মাইকিং চালানো হচ্ছে। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থানায় প্রবেশের ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এরআগে বুধবার রাত আটটায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মুনিবুর রহমান সরকারের দেয়া এসব নির্দেশনা পালনের জন্য মাইকিং করেছেন। হোটেল মালিকদের পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধে বৃহস্পতিবার থেকে নতুন হোটেল বুকিং বন্ধের নির্দেশনাসহ যারা এখন অবস্থান করছেন তাদের কুয়াকাটা ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সড়ক ও নৌপথে অন্য জেলার কোনো লোক পটুয়াখালী জেলায় যেন না আসে। যদি এসে থাকে তবে তাদেরকে লঞ্চ বা গাড়িতেই রেখে পুনরায় ফেরত পাঠাতে হবে। কোনো উপায়েই অন্য জেলার কোনো লোক যেন পটুয়াখালী জেলায় আসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় জুয়েলার্স ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
পটুয়াখালীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার রাতে শহরের উজ্জ্বল জুয়েলার্সে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি জানান, আট দিন আগে ভারত থেকে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী স্বজল কর্মকার বাংলাদেশে আসেন। এরপর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। তিনি নির্দেশনা না মেনে ঘোরাঘুরি করেন এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তার বাড়ি যাওয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার দোকানে যাওয়া হয়। সেই সাথে তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হয়।