অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীতে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জাবালে নূরের কোনো গাড়ি চলবে না বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।

সোমবার পরিবহনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এএইচএম নোমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। যেহেতু নিহত একজনের বাবা মামলা করেছে, তাই প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জাবালে নূরের কোনো গাড়ি চলবে না।

আব্দুল্লাহপুর-মিরপুর ও মিরপুর-নতুন বাজার রুটে জাবালে নূর পরিবহনের ৬০টি গাড়ি চলে।

অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো সিটিং ভাড়া নিলেও তারা লোকাল বাসের মতো চলে। এছাড়া তাদের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ২৫ টাকা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যেখানে-সেখানে পার্কিং, ওভারটেকিং সবই প্রভাবের সঙ্গেই করে জাবালে নূর পরিবহনের চালকরা।

রোববার কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নামে দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ কেড়ে নেয় এ পরিবহন, আহত হয় আরও ১২ জন।

এ ঘটনায় নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

সোমবার সকাল থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে বিক্ষোভে অংশ নিতে থাকে।

বেলা ১২টা নাগাদ বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয়। এতে এই রুটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন সড়কে শতাধিক বাস ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সোমবার জাবালে নূর পরিবহনের কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।