ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে শিক্ষার্থীদের। আজ বৃহস্পতিবারও (১৮ জুলাই) সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তারা।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে টিএসসির সড়ক অবরোধ করে। তারা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের অধিভুক্তির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলেন, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে অতিরিক্ত সাত কলেজের প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হচ্ছে। এ ছাড়া সাত কলেজের কারণে তাদের পরিচয় সংকটে ভুগতে হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই তারা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চান।

গতকাল বুধবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসবর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের বাকি তিনটি দাবি হলো দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে; ক্যাম্পাসে ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নির্ধারণ করতে দিতে হবে রিকশা ভাড়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে।

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র শাকিল মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ফল প্রকাশেই নানা জটিলতা তৈরি হয়। এর মধ্যে সাত কলেজের আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর কার্যক্রম করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে গতি আরো কমে গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, সাত কলেজের কার্যক্রম অন্যান্য কলেজের মতোই নিজ নিজ কলেজে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানাতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাকসু রয়েছে। কিন্তু সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।