তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন খোদা বক্স নামে এক কৃষক।  ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

ড্রাগন চাষের সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। খোদা বক্সের ড্রাগন বাগান দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। 

উপজেলার তিরনইহাট ইউপির ফুটকি বাড়ি এলাকার বাসিন্দা খোদা বক্স। বাড়ির পাশে পড়ে থাকা আঘা বিঘা পতিত জমিতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষ  করে সফল হয়ে আলোর মুখ দেখছেন তিনি। খোদা বক্স প্রতিদিনিই বাগান থেকে ড্রাগন সংগ্রহ করে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি করছেন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। 

তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন খোদা বক্স নামে এক কৃষক। 

জানা যায়, খোদা বক্সের ছোট ছেলে আব্দুল কাদের জিলানী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ছেলের কাছে প্রথম ড্রাগন ফলের নাম শুনেন কৃষক খোদা বক্স। পরে ছেলের মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ড্রাগন ফল ও চাষ পদ্ধতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছেলের সহযোগিতায় বাড়ির পাশে জমি প্রস্তুত করেন তিনি। 

টাঙ্গাইল থেকে ড্রাগনের চারা নিয়ে এক বছর আগে আধা বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছরে মধ্যে গাছগুলোতে ফুল আসতে শুরু করে। বর্তমানে বাগানের প্রতিটি গাছে ফল এসেছে এবং পাকা শুরু হয়েছে। বাগান থেকে ড্রাগন সংগ্রহ করে কৃষক খোদা বক্স স্থানীয় বাজারে বিক্রি শুরু করছেন। তিনি ড্রাগনের গাছ থেকে চারাও তৈরি করেছেন। তার এমন সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও ড্রাগন চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। 

স্থানীয় কৃষক জাহিরুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন ফলের কথা শুনেছি তবে জীবনে কোনো দিন এই ফল দেখিনি। যেহেতু ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে আমাদের এলাকার তাই আমিও এই ফল চাষ করতে আগ্রহী।

পর্যটক লিয়াকত আলী বলেন, খবর পেয়ে এই ড্রাগন বাগান দেখতে আসছি বন্ধুদের সঙ্গে। তেঁতুলিয়ায় এটাই প্রথম বাগান। বাগান দেখলাম বাড়ির জন্য ড্রাগন ফলও কিনলাম। 

তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন খোদা বক্স নামে এক কৃষক। 

কৃষক খোদা বক্স বলেন, আগে কখনও ড্রাগন ফল দেখিনি। ছোট ছেলের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় প্রথম চাষ করেছি৷ টাঙ্গাইল থেকে ড্রাগনের চারা নিয়ে রোপণ করি। বাগানে ফুল আসায় আশার আলো দেখছি। বাগানে এরই মধ্যে ফল আসতে শুরু করেছে। পাকা ফল বিক্রিও করছি। সারা বছর যদি এভাবে ফল আসে তাহলে অনেক লাভবান হবো। যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে সফল হয়েছি তাই আগামীতে বাগান সম্প্রসারণ করতে জমি প্রস্তুত করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেলে আরো এগিয়ে যেতে পারবো।  
 
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো পরীমূলকভাবে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। এরইমধ্যে সরজমিনে বাগান পরিদর্শন করেছি। বাগান মালিককে শুরু থেকে কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সেবা ও সহযোগীতা করে আসছে। তিনি সহযোগিতা চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হবে।