অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে সফল বলে দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। শনিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, গত রাতে হামলা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। বিচক্ষণতার জন্য ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে ধন্যবাদ। তাদের চমৎকার সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ। সিরিয়ায় হামলায় এর চেয়ে ভালো ফল হতে পারে না। মিশন সম্পন্ন। খবর সিএনএন।
গত শনিবার সকালে রাসায়নিক অস্ত্রগার লক্ষ্য করে সিরিয়ায় একসঙ্গে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে বিস্ফোরণের কথা বলেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়েই এই হামলা বলে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সঙ্গে অপারেশন চালিয়েছে আমেরিকা। যতদিন না সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ থামাবে, ততদিন হামলা চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে বিষাক্ত গ্যাসের ফলে সিরিয়ায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়। তারপরেই এই বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ওই তিনটি দেশ।
হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ট্রাম্প জানান, ‘কিছুদিন আগেই আমি মার্কিন সেনাকে হামলার কথা বলি। সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাসার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিমান হামলা একাধিক জায়গায় করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। হামলার জন্য তোমাহক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, একশ তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ৭১টিই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং হামলায় কোনো সিরীয় বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেনি।

এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটা বর্বর আগ্রাসন। হামলার তীব্র নিন্দাও জানানো হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোকে এর মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা আবদুল রহমান মুস্তাফা বলেন, হামলার ঘটনাটি রাশিয়া ও ইরানের জন্য কঠিন বার্তা। হামলার ঘটনায় আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।