ফাইল ছবি

গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গুলশানের ফিরোজায় গিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। ঐ সময়ও কয়েকজন সিনিয়র নেতা জামায়াত প্রসঙ্গে কথা বলেন দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। তখন জামায়াতের বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

তিনি বলেছিলেন, জামায়াতের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। দলের মধ্যে যদি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার মতামত এসে থাকে, তাহলে যা ভালো মনে করেন, করতে পারেন। 

জামায়াতের বিষয়ে নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্তেই তার আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি। 

কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে এ বিষয়ে তৃণমূল ও দলের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে দেখা গেছে চাপা ক্ষোভ। 

তাদের দাবি, দলের কিছু সুবিধাভোগী নেতার কারণে বিএনপির এই করুণ দশা। নিজেদের সুবিধার জন্য তারা ইচ্ছা করে বিএনপিকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করছে।

জামায়াত ত্যাগের প্রশ্নে কিছুদিন ধরে দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা, দেন দরবার চলে আসছে অনেকদিন ধরে। জামায়াত ত্যাগের প্রক্রিয়াও শুরু করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে একাধিক বার। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও এতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কীভাবে সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, জামায়াতকে ছাড়ার বিষয়ে বিএনপির ওপর দীর্ঘদিনের দেশি ও আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। 

আন্তর্জাতিকভাবে জামায়াতকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং উগ্রবাদী হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যে আশা নিয়ে বিএনপি জামায়াতকে জোটে নিয়েছিল এখন আর সেটার ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপিকেই অংশ নিতে হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাময়াতকে ছাড়া না ছাড়ার বিষয়ে কোনো কিছুই ভাবছে না বিএনপি। এখন পর্যন্ত আমাদের ২০ দলীয় জোট (জামায়াতসহ) অক্ষুণ্ন আছে। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে আলোচনার কিছুই নেই।