দর্পণ ডেস্ক : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন এক মার্কিন বিচারক। তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের অবস্থান মেনে নেয়া ছাড়া তার কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না।
২০১৮ সালে তুরস্কের সৌদি কনসুলেটে মার্কিন-সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। এরপর খাশোগির বাগদত্তা হাতিজে জেঙ্গিস মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দারা তদন্ত শেষে জানিয়েছিলেন, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সালমান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত মাসে বলেছিল, সৌদি প্রশাসনে সালমানের উঁচু অবস্থান থাকায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল বিচারক জন বেটস বলেন, জেঙ্গিস ও খাশোগির মানবাধিকার সংস্থা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সালমানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ‘শক্তিশালী’ ও ‘মেধাবী’ যুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন সরকারের অবস্থান প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা তার নেই বলে জানান তিনি।
বেটস বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবসহ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ইস্যুগুলোর জন্য দায়বদ্ধ। ফলে সালমানের ইমিউনিটি বা দায়মুক্তির বিষয়ে এই আদালত অন্য রকম সিদ্ধান্ত দিলে সেটা ওই বিষয়গুলোতে অযথা হস্তক্ষেপ করবে।’
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা মার্কিন আদালতে দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন। সালমানকে গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
বেটস বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সালমানের দায়িত্ব পাওয়ার সময় ও সালমানের বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় তাকে ‘অস্বস্তিতে’ ফেলেছিল। খাশোগির প্রতিষ্ঠা করা সংস্থা ‘ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও’ মঙ্গলবারের রায়ের সমালোচনা করেছে। খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সালমান। ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগি সৌদি সরকার ও সালমানের নীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে