অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ এবং সমগ্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তাদের কর্মকাণ্ড প্রসারে নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ‘২০১৮ গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ সম্মেলন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও গ্লোবাল সামিট অব উইমেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে ২৬ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সিডনির উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সম্মেলনে যোগ দিতে গ্লোবাল সামিট অব উইমেনও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে গ্লোবাল সামিট অব উইমেন এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। সংস্থার উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারী শিক্ষা এবং তাদের ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সম্মানিত করতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়। গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ পদক পান। ইতিপূর্বে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, জাতিসংঘের সাবেক শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সাদাকো ওগাতা, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসনসহ অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।

সফরকালে ২৮ এপ্রিল সিডনিতে কমনওয়েলথ হাউসে প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বৈঠককালে দুই নেতা মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি, কৃষি, নিরাপত্তা, শিক্ষা এবং ক্রীড়া বিষয়ে আলোচনা করবেন। মাহমুদ আলী আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পাশাপাশি অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তাগণ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।