অনলাইন ডেস্ক : সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলেও কমিটি গঠন হয়নি। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ উল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচত মেয়র নাদের বখ্ত প্রমুখ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসাইন বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী যে ষড়যন্ত্র করেছিল, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের সকল ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগকে আগামী শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও যুগপযোগী করে গড়ে তুলে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে জাকির হোসেন কাউন্সিলের ঘোষণা দেন। সার্কিট হাউসের এই কাউন্সিলে কেবল জেলা আহ্বায়ক কমিটি ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা আহ্বায়ক যুগ্মআহ্বায়ক থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু পরে ওখানেও কোন কাউন্সিল হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন সার্কিট হাউসে বসে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের জীবন-বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনের কাছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সভাপতি পদে দীপংকর কান্তি দে ও নাজমুল হক কিরণ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ঈশতিয়াক আলম পিয়াল ও অভিজিৎ চৌধুরী টিংকুর নাম প্রস্তাব করায় নেতৃবৃন্দ কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে জাকির বলেন, আমরা বায়োডাটা সংগ্রহ করেছি, ঢাকায় গিয়ে সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কমিটি ঘোষণা করা হবে।