মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বগি ব্রিজের নিচে পড়ে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। আর দু’টি বগি পাশের ধানক্ষেতে পড়েছে।এতে ঘটনাস্থলে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২৫০ জন যাত্রী আহতে হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।

রোববার (২৩ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার অদূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ৪ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে দমকলবাহিনীর ১২টি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশ।

এতে আরও কয়েকজন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। নদীতে ছিটকে পড়া বগি থেকে মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসতে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী।

কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. নূরুল হক জানান, এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে নারীসহ ৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় ভর্তি রয়েছে আরও ৬০ জন।

রোববার রাত ১১টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে বনশাইল নামক স্থানে সেতু ভেঙ্গে উপবন ট্রেনের তিনটি বগি ছিটকে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় আরও কয়েকটি বগি। রাতে সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ওই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান রাত ১টায় ঘটনাস্থল থেকে জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ট্রেনের অন্য যাত্রীদেরও নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় সিলেটের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোোগও পাঁচ দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রচুর বেশী যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।