নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ ও পরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের ৯ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুগদা এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় হেলেনা বেগম (৪২) নামের একজনকে আটক করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন কিশোরীর ভগ্নিপতি। আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার হেলেনাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত রিমান্ডের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গাজী শামীম হোসেন আমাদের সময়কে জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ৭টায় গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আদমজী ইপিজেডের সামনে থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান মনির হোসেন জামাল নামের এক ব্যক্তি। এদিকে মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে তার পরিবার।

প্রথমে মনিরের খোঁজ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জিডির সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুগদা থানার মদিনাবাগ এলাকার ৩৮/ক আবদুল জব্বারের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় হেলেনা বেগমের বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, অপহরণের পর মনির তাকে হেলেনার বাসায় এনে ধর্ষণ করেন। পরে কয়েকজন খদ্দের নিয়ে এসে ওই কিশোরীকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করানো হয়। হেলেনা নিজেও একজন দেহব্যবসায়ী হওয়ায় তার ঘরে রেখে ওই কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন মনির।

এ ঘটনায় বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হেলেনানহ মনির হোসেন জামাল, তার সহযোগী নানা ওরফে কারফু, পনির, নাঈম, ইমন, মাজহারুল ও দেবাশীষ নামে ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামরা করেন কিশোরীর ভগ্নিপতি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, ১৬ বছরের এক কিশোরিকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।