কাঠবাদাম। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত কাঠবাদাম খাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নেয়া হয়। তবে আমন্ডের খোসা ফেলে দেওয়াটা একেবারেই কাজের কথা না। কারণ ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এই খোসা থেকে। ফলে এগুলো যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি ত্বক ও চুলের যত্নেও অনন্য।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে কাজে লাগাবেন কাঠবাদাম বা আমন্ডের খোসা-

কাঠবাদাম।>> আমন্ড পিল ও ওট গুঁড়া করে নিন। টক দই মিশিয়ে বানিয়ে নিন পেস্ট। মিশ্রণটি ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। ত্বকের মরা চামড়া দূর হবে।  

>> আমন্ডের বাদামি খোসায় পাওয়া যায় ফাইবার। এই খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এরপর তিসি বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও মিসরি গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে কুসুম গরম দুধে দিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

>> লাড্ডু বানিয়ে ফেলতে পারেন কাজু বাদামের খোসা দিয়ে। এজন্য ব্লেন্ডারে ১ কাপ আমন্ডের খোসা, সিকি কাপ তিসি বীজ, ১ কাপ কোড়ানো নারকেল ও গুড় দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি গরম ঘি দিয়ে নেড়ে বানিয়ে ফেলুন লাড্ডু।

>> বাদামের খোসা দিয়ে বানিয়ে ফেলেত পারেন হেয়ার প্যাক। আধা কাপ আমন্ডের খোসার সঙ্গে ১টি ডিম, ১ টেবিল চামচ নারকেলের তেল, ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে ঝলমলে।