প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মোসা. ফারজানা আক্তার সুমি
নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী স্ত্রীর দাবী প্রতিষ্ঠায় তার প্রেমিকের বাড়ীতে
অবস্থান নিয়েছে। শনিবার (১১জানুয়ারী) সকালে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের
চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় ঘটনার সুষ্ঠু
সমাধানের জন্য ওই শিক্ষার্থীকে এদিন বিকেলে থানায় নিয়ে আসা হয়।

জানা গেছে, ফারজানা আক্তার সুমি বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী । সে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের
চুঙ্গাপাশা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে।
অপরদিকে বায়েজিদ আহম্মেদ ঢাকার নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এর বাড়ী একই
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. নাজির
হাওলাদার। এদের দু’জনের পরিচয় সূত্রে গত দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে
ওঠে। বায়েজিদ বিভিন্ন সময় বরিশাল’র বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ফারজানা আক্তার
সুমি কে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রি যাপন করতেন। পরে বায়েজিদ
আহম্মেদ তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় শনিবার সকালে বায়েজীদ
আহম্মেদের বাড়ীতে স্বামীর দাবী নিয়ে অবস্থান করে প্রেমিকা ফারজানা আক্তার
সুমি।

এ বিষয়ে ফারজানা আক্তার সুমি জানান, ’অনৈতিক সম্পর্কে রাজী না হওয়ায় একজন
হুজুর ডেকে শুধু কলমা পড়ে বিয়ে পড়ানো হয়, কিন্তু কাবিন করা হয়নি। এরপর
সরল বিশ্বাসে তার সাথে মেলামেশা করেছি। বর্তমানে সে তা অস্বীকার করায়
স্বামীর দাবী নিয়ে তার বাড়ীতে অবস্থান করেছি। এর আগেও আমি এ বাড়ীতে আসলে
মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।’

কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. শওকত জাহান বলেন, ’ঘটনার সুষ্ঠু
সমাধানের জন্য ফারজানাকে থানায় নিতে এসেছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার নলেজে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’

এদিকে রহস্যজনক কারনে পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. শওকত জাহান সুষ্ঠু সমাধানের
কথা বলে ওই ছাত্রীকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের সুযোগ না দিয়ে তার পরিবারের
সদস্যদের সাথে বাড়ী ফিরে যেতে করেছে বলে জানিয়েছেন ভিকটিম কলেজ ছাত্রী
ফারজানা আক্তার সুমি।