দর্পণ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করেছে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি। মধ্যরাতে ঝড়টির মূল অংশ বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ। মধ্যরাতে ভোলার কাছে দিয়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূল দিয়ে এর মূল অংশ প্রবেশ করবে বা আঘাত করবে।
তিনি বলেন, ভোররাতের দিকে সিত্রাংয়ের প্রভাব ক্রমশ কমে যাবে। তবে এর প্রভাবে দেশের উপকূলে এবং অন্যান্য অঞ্চলেও কাল বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় অমাবস্যা থাকায় জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে আট ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠতে পারে। এ কারণে দেশের উপকূলের বেশির ভাগ এলাকা ওই জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টি যুক্ত হওয়ায় দেশের উপকূলের সবকটি জেলায় স্বল্পস্থায়ী বন্যা হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দেশের উপকূলের ১৫টি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের উপকূলের অন্তত ১৩টি জেলা বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আজ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।