ফাইল ফটো

সম্প্রতি বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে, যার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘৩০ হাজার কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ব্যয় করে ত্রুটিপূর্ণ সেতু নির্মাণ! প্রথম দিনেই নাট-বল্টু খুলে যাচ্ছে।’

এ নিয়ে অনেকেই বিরূপ সমালোচনা করেছেন। মোতালিব নামে একজন  ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সমালোচনারও একটা লিমিট থাকা উচিত। নাট-বল্টু খোলাতে কি সেতু খুলে পড়ে গেছে? আগে গবেষণা করে দেখুন ঐ নাট-বল্টুগুলো সেতুর জন্য কতটা জরুরি ছিল। আমাদের দেশের প্রধানবিরোধী দলের নামের পেজ এটা। যিনি  অ্যাডমিন আছেন, আশা করি তিনি আরো দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। এমন কোনো পোস্ট করবেন না, যাতে মানুষ উল্টো আপনাদেরই সম্পর্কেই  নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে। ধন্যবাদ।’

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, টুল বক্সের যন্ত্রপাতি দিয়ে রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে গ্রেফতার হওয়া মো. বায়েজিদ বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। সে ছাত্রদলের কর্মী ছিল। পটুয়াখালীতে থাকাকালে ছাত্রদলের রাজনীতিতে তাকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। সে জেলা ছাত্রদলের সা‌বেক সভাপ‌তি গাজী মো. আশফাকুর রহমান বিপ্লবের অনুসারী ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিএন‌পি ও ছাত্রদ‌লের একাধিক নেতা। বায়েজিদ যে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তা বাংলাদেশের প্রথম সারির অনেক সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

তার চাচা মো. ফোরকান মৃধা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বায়েজিদ জেলা স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সাধারণ সম্পাদক এনা‌য়েত হো‌সেন মোহ‌নের চাচাতো ভাই। সে মোহ‌নের সঙ্গে বিএনপির বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে যেত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। একটু পেছন ফিরলেই দেখা যায়, এ সেতু নিয়ে আগেও নানা ষড়যন্ত্র করেছিল দলটি। তারা দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগও করেছিল। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, ‘পদ্মাসেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে বানানো সেতুতে, কেউ উঠবেও না।’ এরপর একের পর এক পদ্মাসেতুবিরোধী মন্তব্য আসতে থাকে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে। অবশেষে পদ্মাসেতু সফলভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। উদ্বোধন শেষে গাড়িও চলাচল করছে।