অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বিয়ের প্রলোভনে হোটেল কক্ষে ১১ দিন আটক রেখে এক তরুণীকে (১৯) গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ০১/০৩-০৫-১৮ করেন।

বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন গণধর্ষণের মূল হোতা সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের জসিম উদ্দিন (৩০) ও দক্ষিণ সুরমার হোটেল আল-তকদিরের মালিক নিয়াজ মিয়া (৪০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ঠাকুর বাড়ির এক তরুণীর (১৯) সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় জসিম উদ্দিনের। জসিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ এপ্রিল ওই তরুণীকে হোটেল আল-তকদিরে উঠায়।

এখানে তাকে দীর্ঘ ১১ দিন বন্দি রেখে জসিম ও তার সহযোগীরা তাকে গণধর্ষণ করে। এমনকি ভাড়া দিয়ে খদ্দেরকে দিয়ে ধর্ষণ করায়। পাশাপাশি ওই তরুণীর আইডি কার্ড, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট ও মোবাইল কেড়ে নেয়।

৩০ এপ্রিল কৌশলে হোটেল থেকে বের হয়ে ওই তরুণী তার পরিচিত বান্ধবী নাছিমার আশ্রয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা নেয়। মামলায় হোটেল আল-তকদিরের মালিক ও স্টাফসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হচ্ছে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের জসিম উদ্দিন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাটে হোটেল আল-তকদিরের মালিক সৈয়দ নিয়াজ মিয়া, একই হোটেলের স্টাফ জাকির (৩০) ও নূর মিয়া (৪২)। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বাকি দু’জনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।