দর্পণ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সিডনিতে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় ম্যাচ। তবে বৃষ্টি আইনে আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭৩ রান। যা এক প্রকার অসম্ভবই ছিল। তবে গোল বলের ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই পাক বোলারদের শাসন করা শুরু করেন ক্লাসেন ও স্টাবস। তবে সেটি স্থায়ী হয় মাত্র কয়েক ওভার। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ফিরে যান ক্লাসেন। স্টাবসও বেশি দূর যেতে পারেননি। বিপরীতে ধারাবাহিকভাবে পড়েছে উইকেট। শেষ ৩ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৭ রান। দুই ওভার মিলিয়ে তারা নিতে পারে মোটে ৬ রান। শেষ ওভারে দরকার পড়ে ৪১ রান। সেটিতে তারা তুলতে পারে ৭ রান। ৩৩ রানের অনুমিত পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভুমার দল।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। দুটি উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।
বৃষ্টি শুরুর আগে অবশ্য ভালো শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঝড় তোলেন টেম্বা বাভুমা। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪ চারের সঙ্গে ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান এই অধিনায়ক। এরপর ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ডি কক ও রাইলি রুশো। মাঝের সময় এইডেন মার্করাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ২০ রানে তিনি ফিরে যান। সিডনিতে এরপরই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর আর ছন্দ খুঁজে পায়নি প্রোটিয়ারা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি টপ-অর্ডার ব্যাটাররা। তারকা ব্যাটার রিজওয়ান, অধিনায়ক বাবর এবং টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান শান মাসুদ ফিরে যান দ্রুত।
নতুন করে দলে যুক্ত হওয়া মোহাম্মদ হারিস দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে ৩ ছয় আর ২ চারে ১১ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন হারিসও। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সেই চাপ ভালোভাবে সামাল দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান। দলীয় ৯৫ রানে নাওয়াজ বিদায় নেন ব্যক্তিগত ২৮ রানে।
এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটারদের ঝোড়ো ব্যাটিং। ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খান শুরু করেন ছয়-চারের বন্যা। প্রোটিয়া বোলারদের একের পর এক বল আছড়ে ফেলেন সীমানার বাইরে। ৪ ছয় আর ৩ চারে ২২ বলে ৫২ রান করে ফেরেন শাদাব। অর্ধশতক হাঁকান ইফতিখারও। ৩৫ বলে ৫১ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাবর আজমের দল সংগ্রহ করে ১৮৫ রান।