পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
চার মাস পর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সূর্য্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রুকূল গ্রামের মীর মো. সোহাগের (২৫) পায়ের রগ কেটে, হাত ও পা ভেঙে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর মো. শাহজাদাকে (৩৫) গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত সোহাগ বাউফলের ইন্দ্রুকূল গ্রামের বাসিন্দা মীর আবদুর রবের ছেলে। সোহাগ ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।গ্রেপ্তারকৃত শাহজাদাও একই গ্রামের মীর শাহাবুদ্দিন সাবুর সন্তান।।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘গোপন খবরে নারায়নগঞ্জের সোনারগা থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সোনারগাঁ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে (শাহজাদা) গ্রেপ্তার করেছে। সেখান থেকে আজকে (শুক্রবার) দুপুরে তাঁকে নিয়ে বাউফল থানা পুলিশ বাউফলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোহাগকে গত ১ জানুয়ারি রাতে শাহজাদার নেতৃত্বে নয়-দশজনের একটি সন্ত্রাসী দল তাঁর (সোহাগ) পথরোধ করে এলোপাতারি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় তাঁর ডান পায়ের রগ কেটে ফেলা হয় এবং ডান পা ও ডান হাত ভেঙে দেওয়া হয় ও তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে (সোহাগ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জানুয়ারি দুপুরে মারা যান।
কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় সোহাগের বড় ভাই মীর মো. সায়েম ৩ জানুয়ারি মীর মো. শাহজাদাকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত তিন-চারজনের নামে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।