অনলাইন ডেস্ক : হাঁটা অন্যতম সেরা ব্যায়াম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ৩০ মিনিট করে হাঁটলে শরীরের স্নায়ু পদ্ধতি উন্নত হয়। সেই সঙ্গে রাগ, ক্ষোভ- এই ধরনের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত হাঁটলে সম্পর্ক উন্নত হয়।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টালসাইকোলজি’ তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, বসে থাকার তুলনায় যারা নিয়মিত হাঁটেন তারা অন্যদের তুলনায় বেশি সৃষ্টিশীল হন।
প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে, কেউ যদি অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকেন এবং তা থেকে কিছুটা সময় মুক্তির উপায় হিসেবে কিছুক্ষণ হেঁটে আসেন তাহলে মস্তিষ্ক অনেকখানি আরামবোধ করবে।
নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণেও এটি ভূমিকা রাখে।
আমেরিকান ডায়বেটিস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমে। আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ২০ থেকে ৪০ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন ২০০২’ -এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যারা সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন আধঘণ্টা করে হাঁটেন অন্যদের তুলনায় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি শতকরা ৩০ ভাগ কমে যায়।
নিয়মিত হাঁটলে পায়ের পেশীও ভালো থাকে।
নিয়মিত হাঁটা হজমের জন্যও সহায়ক। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কিছুটা কমে।
যারা নিয়মিত হাঁটেন তাদের মধ্যে অন্যান্য কাজও নিয়মিত করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।